May 31, 2023
বিশ্বকাপে কাতারের ২২০ বিলিয়ন ডলার পুরোটাই লস

বিশ্বকাপে কাতারের ২২০ বিলিয়ন ডলার পুরোটাই লস

বিশ্বকাপে কাতারের ২২০ বিলিয়ন ডলার পুরোটাই লস ? বিশ্বকাপে সফল ভাবে শেষ করার পর এখানে প্রশ্ন উঠেছে ২২০ বিলিয়ন ডলার খরচ করে কাতারে কি লাভ হলো। বিশেষ করে স্বাগতিক কাতার যখন প্রতি ম্যাচ হেরে সবার আগে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয়। তখন প্রশ্ন উত্তর ছিলো তাদের পুরো টাকা কি বিফলে গেলো।


এখানে লক্ষনিয় ব্যাপার হলো যে কাতার বিশ্বকাপ জন্য ২২০ বিলিয়ন ডলার স্টেডিয়ামে নির্মানে খরচ করে নি। এই বিপুল টাকা মাঝে মাত্র ৩% অর্থাৎ ৮ বিলিয়ন ডলার স্টেডিয়ামে নির্মানে ব্যয় করেন। তবে বাকি ৯৭% অর্থাৎ ২১২ বিলিয়ন ডলার কোথায় গেল? এই প্রশ্নে উত্তর লুকিয়ে আছে ২০০৮ সালে বিশ্বকাপে কাতারে মিশন ২০৩০ সালে মিশনে।

বিপুল পরিমাণ তেলের পাশাপাশি কাতারে ৩য় সর্বচ্চো গ্যাসের মজুদ রয়েছে। যা তারা বিক্রয় করে এত টাকা মালিক। কিন্তু এই একদিন পুড়িয়ে যাবে।তখন যেন ভেনেজুয়েলার মতন পরিনতি না হয় সেই তারা আগে থেকে বিকল্প তৈরি করেছে। তবে আয়তন ও জনসংখ্যায় ছোট দেশ হয়ায় অন্য কিছু তে সুবিধা হবে নাহ বিধায় পর্যটন শিল্প হিসাবে বেচে নিয়েছেন।

এর সহজ উদাহরণ অতাধুনিক দুরায় শহর। এমনি কি নিয়ম সিটি তৈরি মাধ্যমে সৌদি আরব একই পথে হাঁটছে। এমন আবস্হায় কাতার পৃথিবীর দৃষ্টি আকর্ষণ জন্য কাতার বিশ্বের সবচেয়ে ইভেন্ট ফুটবল বিশ্বকাপকে বেচে নিয়েছেন।


আমরা যেমন টিভি তে বিজ্ঞাপনে টাকা খরচ করে ভিন্ন এড দেই তেমনই কাতার বিশ্বকাপ মাধ্যমে কাতার নিজেদের ব্যান্ডিং করতে সফল হয়েছে।

এখন বিশ্বের ছোট বড় সবাই কাতারের নাম জানেন। আমরা ছোট বেলা থেকে আজ পর্যন্ত যখন বার কাতারে নাম নিয়েছি এই এক মাসে কাতারে নামে নিয়ে ফেলছি তার থেকে বহু গুন বেশি। এটায় হচ্ছে ব্যাডিং। এখনকার কার্মালিয়ার বিশ্বে ব্যান্ড ভেলু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার।

Read More-দুই বিশ্বকাপ জয়ী উরুগুয়ের জার্সিতে চার তারকা কেন?

তাহলে খরচ টা কাতার কোথায় করেছে এবার মুল প্রসঙ্গে আসা যাক। পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে কাতার দুদু মরুভূমিকে পুরো একটা স্মার্ট সিটি তৈরি করে ফেলছেন।খরচ গুলা হয়েছে এখানেই।

কাতারে খরচের অংশ বিশেষ।

যেমন ১৯৫০-২০১৩ সালে কাতারে সড়ক ছিলো ৪৯২ কি মি। এখন ২০১৩-২০২২সালে কাতারে সড়ক বেড়ে দাড়িয়েছে ১৭৯১। পুর্বের তুলায় প্রায় ৪০০ গুন বৃদ্ধি করেছেন।
১৯৫০-২০১৩ সালে কাতারে ব্রিজ ছিলো ২২ টি। যা ২০১৩-২০২২ সালে কাতারে ব্রিজের সংখ্যা বেড়ে দাড়ায় ২০০ টি।

২০০৮ সালে কাতারে হোটেল রুম ছিলো ৩০ হাজার। যা ২০১৩-২০২২ সালে বৃদ্ধি করা হয়ছে ১ লক্ষ ৩০ হাজার। বিশ্বকাশ ফাইনালে ভেন্যু যে লুসাই স্টেডিয়ামে অবস্থিত যেই লুসাই সিটি তে সেটি ছিলো দুদু মরুভূমি যেখান থেকে আধুনিক শহর তৈরি করেছে কাতারে খরচ হয়েছে ৪৫ বিলিয়ন ডলার। যা কাতারে মোট খরচে এক তিনাংশ। এটি ভবিষ্যতে কাতারে পর্যটনের প্রধান কেন্দ্র।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খরচ কাতারে

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খরচ হয়েছে দুহা শহর কে মাকসা জলের মতন চড়িয়ে দিতে দুহা মোট্রো সিস্টেমে। যেখানে ব্যয় হয়ছে ৩৬ বিলিয়ন ডলার। প্রধান বিমানবন্দর ও আন্তর্জাতিক রুটে গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট পয়েন্ট হামাদ এয়ারপোর্টে সংস্কার ও সম্প্রসারনে ব্যয় হয়ছে ১৫.৫ বিলিয়ন ডলার। পর্যটন ও ব্যবসায় বৈচিত্র আনতে নতুন সুমদ্রবন্দর তৈরিতে মোট খরচ হয়েছে ৭.৫ বিলিয়ন ডলার।

দোহা সিটি সংস্কারে ৪.৫ বিলিয়ন ডলার এবং অন্য অর্থনেতিক জোন তৈরি করতে ৩.৫ বিলিয়ন ডলার খরচ করা হয়ছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে পর্য়টনকে উদ্দেশ্য করে তৈরি করা হলে এগুলাকে বিশ্বকাপে খরচ সাথে মিলে ফেলা হয়েছে। অর্থচ এই বিপুল টাকা দেশটি অবকাঠামো, যাতায়াত ব্যবস্হা,নাগরিক সুবিধা ও বিনোদন কেন্দ্রের পিছনে ব্যয় হয়ছে।

Read More-মেসির হাতে বিশ্বকাপ ।

বিশ্বকাপে কাতারের ২২০ বিলিয়ন ডলার পুরোটাই লস ? এগুলা মাধ্যমে তারা যে ভবিষ্যতে দুবাই, সিঙ্গাপুর কে পিছে ফেলতে সেটার ব্যান্ডিং বা বিজ্ঞাপন হিসাবে পর্যটন দৃষ্টি আকর্ষণ করতে তারা বিশ্বকাপে ভালো মতন ব্যবহার করতে সক্ষম হয়ছে। এই ক্ষেত্রে কাতার ভাগ্য অনেক সহায়ক হয়েছে। এর মাধ্য দিয়ে কাতারে ব্যান্ডিং এর ষোল কলা পুরোন হয়ে গেছে।

এই মাধ্যমে পৌঁছে গেছে প্রতি টা ঘরে ঘরে কাতারে নাম। যা পৃথিবীর পর্যটনকে সহজে আর্কষন করবে। তাদের তেল, গ্যাস নাহ থাকলে এই পর্যটন দিয়ে সারাজীবন চলে যেতে পারবে।তাহলে কি কাতার এত টাকা খরচে লসে আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *