June 4, 2023
বাঙ্গালি জাতির উদ্ভব ও বিকাশ

বাঙ্গালি জাতির উদ্ভব ও বিকাশ

বাঙ্গালি জাতির উদ্ভব ও বিকাশ । ঐতিহাসিক আবুল ফজলের মতে সর্বপ্রথম বঙ্গ থেকেই বাংলা নামটির উৎপত্তি হয়েছে বলে মনে করা হয়।তার মতে চীনা শব্দ অং যার শাব্দিক অর্থ জলাভূমি।

পরবর্তীতে ‘অং’ শব্দের পরিবর্তন হয়ে বং হয়েছে এবং সময়ের আবর্তনের সাথে সাথে বং পরিবর্তন হয়ে বঙ্গ বা বাংলা হয়েছে। তবে সর্বপ্রথম বঙ্গ’র উল্লেখ পাওয়া যায় ঐতরেয় আরণ্যক গ্রন্তে।

বাঙ্গালি হচ্ছে সংকর-জাতি।কতগুলো জাতির সংমিশ্রণে বাঙ্গালি জাতি গড়ে উঠেছে। মূলত অস্ট্রিক,দাব্রিড় ও আর্য জাতির সংমিশ্রণে বাঙ্গালি জাতি গড়ে উঠেছে। আর তাই বাঙ্গালিকে সংকর জাতি বলা হয়।

বাঙ্গালি জনগোষ্ঠীকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। ১.প্রাক আর্য বা অনার্য জনগোষ্ঠী ২.আর্য জনগোষ্ঠী।
আর্য জনগোষ্ঠী ১৫০০ অব্দে ভারতবর্ষে প্রবেশ করে। প্রাক আর্য জনগোষ্ঠীকে আবার ৪ ভাগে ভাগ করা যায়। ১.নেগ্রিটো

২.অস্ট্রিক/নিষাদ

৩.দ্রাবিড়

৪.ভোটচীনিয়/মঙ্গোলীয়

Read More-বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ও তার ভাষণ।


মিশ্র ক্ষুদ্র জাতি হচ্ছে আলপাইন। আবার আর্য জনগোষ্ঠীর ১৪০০ বছর পর খ্রিস্টপূর্ব ১ম শতকে বঙ্গে আগমন ঘটে।

নেগ্রিটোঃ

নেগ্রিটো হচ্ছে বাংলার আদিম অধিবাসী। মূলত এরা ভীল-সাঁওতাল-মুন্ডা উপজাতির পূর্বপুরুষ।নেগ্রিটো জাতিকে অস্ট্রিক জাতি উৎখাত করে।

অস্ট্রিকঃ

নেগ্রিটে জাতিকে উৎখাত করে অস্ট্রিক জাতির যাত্রা শুরু হয়।বাঙ্গালি জাতির প্রধান অংশ গড়ে ওঠে এই অস্ট্রিক জাতি থেকে।আর তাই বাংলার আদি জনগোষ্ঠীর ভাষাও ছিল অস্টিক।

দ্রাবিড়ঃ

দ্রাবিড় জাতিকে বলা হয় অনুপ্রবেশকারী।

ভোটচীনীয়ঃ

গারো,কোচ,ত্রিপুরা,চাকমা ইত্যাদি ভোটচীনীয় গোষ্ঠীর অম্তর্ভুক্ত।

বাঙ্গালি জাতির উদ্ভব ও বিকাশ । আর্য জনগোষ্ঠী হল ঐ জনগোষ্ঠী যারা ল্যাটিন-হিব্রু-জার্মানি ভাষায় কথা বলে। তাদের আদিনিবাস ছিল ইউরোপের ইউরাল পর্বতের দক্ষিণের তৃণভূমি এলাকায়। তাদের ধর্ম ছিল সনাতন এবং ধর্ম গ্রন্ত ছিল বেদ।

তাদের ভারতবর্ষে আগমন ঘটে ১৫০০ অব্দে এবং তাদের বঙ্গে প্রবেশ ঘটে ১৪০০ বছর পর খ্রিস্টপূর্ব ১ম শতকে।

মূলত সময়ের বিবর্তনের সাথে সাথে বিভিন্ন ধাপ পেরিয়েই বাঙ্গালি জাতির উদ্ভব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *