June 1, 2023
পর্দায় সবার্তনে ক্ষুদ্ধ সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা

৫৩ তম সবার্তন, ৫৩ তম সবার্তন ঢাবির অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজ, সরকারি সাত কলেজ সবার্তন, কেন বাড়ানো সমাবর্তনের ফি হলো, ৫৩ তম সমাবর্তনে আবেদন ফি,

পর্দায় সমাবর্তনে ক্ষুদ্ধ সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা । এ ক্রোধ প্রকাশ করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অনেকেই অভিমত প্রকাশ করতেছে, ঐতিহাসিক সাত কলেজে এর ডিজিটাল অনলাইন পর্দায় ৫৩ তম সমাবর্তন সম্মানের বিপরীতে লজ্জাকর এবং আপমানজনক।

ঢাবির বর্তমানে মোট ১৩৪ টা এফিলিয়েটেড/কনস্টিটিউয়েন্ট কলেজ/ইনস্টিটিউট আছে।অন্যান্য প্রতিষ্ঠান স্বশরীর উপস্থিত হয়ে সমাবর্তন গ্রহন করতে পারে।

কিন্তু সাত কলেজ এই বৈষম্য আপমানজনক।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঐতিহ্যবাহী সরকারি সাত কলেজ কে নিয়ে রীতিমতো দ্বৈত নীতি অবলম্বন করে আসছে।পর্দায় সমাবর্তনে ক্ষুদ্ধ সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

পর্দায় সমাবর্তনে ক্ষুদ্ধ সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা: সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ৫৩ তম সমাবর্তন নিয়ে ভোট প্রদান করে সাধারন শিক্ষার্থীরা।

পর্দায় সমাবর্তনে ক্ষুদ্ধ সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা । যেখানে ফলাফল স্বরুপ দেখা যায় ৯০ ভাগ শিক্ষার্থী ৫৩ তম সমাবর্তন পর্দায় হওয়ার “না ” ভোট পদান করেছে।শিক্ষার্থীদের অভিমত, সরাসরি মুল স্পটে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দিতে হবে নতুবা সাত কলেজ কে নিয়ে আলাদা ভেন্যুতে সমাবর্তনের আয়োজন করতে হবে।

৫৩ তম সমাবর্তন নিয়ে শিক্ষার্থীদের অভিমত,

তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী, মোঃ গোলাম রাব্বি বলেন,৫৩ তম সমাবর্তনে অংশগ্রহন করা থেকে সাজেকে, মেঘের দেশে মেঘ উপভোগ করবো, আর মোবাইল সবার্তনে দৃশ্যপট দেখে নিবো।

ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী এম এম রানা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের জন্য গ্রামের যাত্রা পালার মতো প্রজেক্টরে সমাবর্তনের আয়োজন করতে যাচ্ছে যা আমাদের জন্য হাস্যকর।

ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী সাকিব খান বলেন,যেহেতু আমাদের ডিজিটাল সমাবর্তন দিবে আমাদের থেকে শুধু এমবি র টাকা টা রাখলেই পারতো।

তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী, মামুনুর রশিদ বলেন,,সবার্তন হলো সনদ হস্তান্তর করে সর্বোচ্চ সম্মান প্রদান করা।যেখানে কিনা সাত কলেজে শিক্ষার্থী দের প্রজেষ্টর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিত হবে সবার্তন। এটা শিক্ষার্থীদের জন্য হাস্যকর।

সাত কলেজ সমন্বয়ক অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য্য:

সাত কলেজ সমন্বয়ক ও ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য্য বলেন, ঢাবি এর অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা, ঢাবির সাথে ৫২ তম সমাবর্তন পেয়েছিলো প্রজেক্টের মাধ্যমে।

একই ভাবে ৫৩ তম সমাবর্তননেও সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা প্রজেক্টের মাধ্যমে অংশ নেওয়ার কথা বলছেন।

তিনি আরও বলেন, সাত কলেজে শিক্ষার্থী সংখ্যা ঢাবি থেকে কয়েকগুন বেশি হওয়ায় সবার্তন দুটা ভেন্যু হওয়ার কথা তিনি বলছেন।

ভেন্যু ১ঃ ঢাকা কলেজের মাঠে- যেখানে সরকারি সাত থেকে পাচঁ কলেজ অংশ গ্রহন করে।সরকারি কাজী নজরুল কলেজ,সরকারি তিতুমীর কলেজ, বাংলা কলেজ, সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও ঢাকা কলেজ।

ভেন্যু-২ঃ ইডেন কলেজে মাঠে-যেখানে অংশ গ্রহন করে বাকি দুই কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ ও বেগম বদরুন্নেসা কলেজে।

কেন বাড়ানো হলো সমাবর্তনের ফি?

সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য্য ম্যাম কে, প্রশ্ন করা হয়েছিলো, কেন ৫৩ তম সমাবর্তনের ফি বাড়ানো?


ম্যাম বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ৫৩তম সমাবর্তনের ফি বাড়ানো। এখানে একটা বড় খরচ তো প্যান্ডেল খরচ। প্যান্ডেলের সঙ্গে যারা কাজ করবে তাদের খরচটাই সবচেয়ে বেশি। এজন্য ফি বাড়ানো হয়েছে।

আবেদন ফি:
৫৩ তম ঢাবির সমাবর্তনের অনলাইন রেজিষ্ট্রেশন ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। আবেদন ফি স্নাতক ৩৩০০ টাকা এবং স্নাতকোত্তর ৪৩০০ টাকা (সার্ভিস চার্জ প্রযোজ্য)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *