May 31, 2023
দুই বিশ্বকাপ জয়ী উরুগুয়ের জার্সিতে চার তারকা কেন

দুই বিশ্বকাপ জয়ী উরুগুয়ের জার্সিতে চার তারকা কেন

দুই বিশ্বকাপ জয়ী উরুগুয়ের জার্সিতে চার তারকা কেন? উরুগুয়ের র্জাসি কখন মনোযোগ দিয়ে খেয়াল করছে কি?ভালো করে খেয়াল করে দেখলে দেখবেন তাদের জার্সি তে চার স্টার আছে।এই এক একটি তারকা হলো এক একটি বিশ্বকাপ। কিন্তু উরুগুয়ের তো মাত্র দুবার বিশ্বকাপ জিতছে।

প্রথম বার ১৯৩০ সালে বিশ্বকাপের প্রথম আসরে নিজেদের ঘরে মাঠিতে ৪-২ হারায় আর্জেন্টিনাকে। এরপর ১৯৫০ সালে খ্যাতনামা মারকানা স্টেডিয়ামে ব্রাজিল কে পরাজিত করে দ্বিতীয় বারে মতন চ্যাম্পিয়ান হয় উরুগুয়ের লাতিন আমেরিকা দেশটি। এখনও তাহলে বাকি দুটা স্টার অর্থ কি?

অতিরক্তি দুটা তারাকা অর্থ হলো দুটি অলিম্পিক সনদ। যা উরুগুয়ের জিতেছিল যথাক্রমে ১৯২৪ ও ১৯২৮ সালে। তবে এই গল্পের এখানে শেষ নয়। যেমন আর্জেন্টিনার জার্সিতে দুটা তারাকা তারা ১৯৭৮ ও ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপে জিতা দল। নীল সাদা জার্সিতে ২০০৪ ও ২০০৮ এই সোনা জয়ে কোনো অস্তিত্ব নেই।

দুই বিশ্বকাপ জয়ী উরুগুয়ের জার্সিতে চার তারকা কেন? কিন্তু কেন উরুগুয়ের দুটা অলিম্পিক জেতার জন্য অতিরিক্ত দুটা তারকা যোগ করার সুযোগ পায়। এই উত্তর পাওয়ার জন্য একটু পিছনে ফিরে যেতে হবে। ফিফা ১৯০৪ সালে প্রথম বিশ্বকাপ আয়োজন চিন্তা করেন।

২০ দশকে ফিফার আয়োজন

অনেক আলোচনা পর ২০ দশকে ফিফার প্রধান জুয়েলিরিয়াম বিশ্বকাপ আয়োজনের ব্যাপারে সদস্য গুলোর সম্মতি আদায় করেন। কিন্তু ফিফা অবকাঠামো দিকে থেকে বা অর্থ দিক থেকে আজের মতন এত স্বচ্ছল ছিলো নাহ। তাই তারা অলিম্পিক সাথে সমন্বয় করে বিশকাপ আয়োজন করার চিন্তা করে।

১৯২৪ ও ১৯২৮ সালে বিশ্বকাপ আয়োজনটা ছিলো মুল অলিম্পিকে ফুটবল আসরটায়।কিন্তু কালে ধারায় এটা ফিফা বিশ্বকাপ নয় এটা কালের ধারায় অলিম্পিক বিশ্বকাপ নামেই পরিচিতি লাভ করছে। ফিফার অন্তভুক্তি আগে অলিম্পিক কমিটি এই ফুটবল টুনামেন্টে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে কোনো রকম বিধি নিষেধ অরুপ করতো নাহ। ফিফার আগমন থেকে সব ব্যাপার নিয়েও স্থিতিশীল হয়।

ঐ দুটি ফুলবল আয়োজন হয় ফিফার ফুটবল নীতিমালা মেনে। তাই ফিফা ঐ দুটি দলকে সোনা জিতার দল হিসাবে হিসাবে মানে। তাই উরুগুয়ের নিজেদের জার্সিতে অতিরিক্ত দুটা তারাকা যোগ করার সুবিধা পায়। বাকি অলিম্পিক সাথে ফিফার সারাসরি কোনো সম্পর্কে ছিলো সাথে সাথে অলিম্পিক সাথে তাদের চুক্তিও শেষ হয়ে যায়।সেই সময় থেকে অলিম্পিক গুলা আর দশটা চ্যাম্পিয়ানের মতন মাযর্দা ভোগ করে এসেছে।

স্বাধীন বিশ্বকাপে আয়োজনে ফিফা।

১৯৩০ সাথে ফিফা স্বাধীন ভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করেন। প্রথম বিশ্বকাপ আয়োজন করে সেই উরুগুয়ের। দুটি অলিম্পিক জেতেই সুবাদেই বেচে নেয় তাদের ফিফা সংস্থা। ফলে বলা যায় ফিফা বিশ্বকাপে জরিয়ে আছে উরুগুয়ের নাম।

Read More-মেসির হাতে বিশ্বকাপ ।

এখানে আরও একটু যোগ করা উচিত যে চারটি বিশ্বকাপ চ্যাস্পিয়ান সিপ দুটি বিশ্বকাপ ও দুটি অলিম্পিক সোনা ছাড়াও আর একটি বড় সিরপা জিতেছে ইউরোপে। ১৯৮০ সালে তারা ওয়াড চ্যাম্পিয়ান কাপ জিতে। ফাইনালে তারা হারায় ব্রাজিল কে। তবে এই চ্যাম্পিয়ান উরুগুয়ের জার্সিতে অতিরিক্ত কোনো তারাকা যোগ করে নি। যদি এটা ফুটবল ইতিহাস সবচেয়ে বড় জয় গুলার মাঝে একটি।

এই টুনামেন্ট বিশ্বকাপ ৫০ বছর পুর্তি উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছিলো। ফিফা নীতি মালা বলছে ২০৩০ সালে ফিফা বিশ্বকাপ ১০০ বছর পুর্তি উপলক্ষে এ টুনামেন্ট আবার আয়োজন করা হবে। সেই শুধু মাত্র কমপক্ষে হলেও একটা করে বিশ্বকাপ জিতেছে। ১৯৮০ সালেও তাই হয়েছিলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *