
চাকরি জীবনের ক্যারিয়ার পরিকল্পনা

ক্যারিয়ার পরিকল্পনা
চাকরি জীবনের ক্যারিয়ার পরিকল্পনা: সকাল বেলা অফিসে বসেই একটা টু-ডু লিস্ট (‘To do list) করে যে লৰা। যেকোন কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করতে টু-ডু লিস্ট তৈরি করা সবার জন্য অনেক জরুরি। আমাদের সবার জীবনই এখন বেশ ব্যস্ততায় ঘেরা। এই আবেশে হুট করে যেকোনাে দরকারি কাজ করার কথা ভুলে যাওয়াই স্বাভাবিক। অন্য কোনো কাজ আমরা পারি বা না পারি ভুলে যেতে আমরা ওস্তাদ। টু-ডু লিস্ট কোন কাজ জরুরি আর কোন কাক্স অপেক্ষাকৃত কম জরুরি তা অগ্রাধিকার করতে সাহায্য করে থাকে।
আর্জেন্ট-ইম্পর্টেন্ট প্রভাক্টিভিটি হ্যাকটা ইউজ করে সাজাবা। বসরা জিজ্ঞাসা করলে দেখৰা সহজেই পট পট করে বলে দিতে পারছ তােমার হাতে কোন কোন কাজ এবং তাদের লাস্ট আপডেট। আর যদি টু-ডু লিস্ট না থাকে দেখবা কেমন খাপছাড়া উত্তর দিচ্ছ। বসরা ভাববে হয়তাে তুমি গােছানাে না বা তােমার কাজ নেই। আজেন্টইম্পর্টেন্ট প্রডাক্টিভিটি হ্যাক ইউজ করলে দেখবা দিনটা কেমন প্রােডাক্টিভ ওয়েতে। অতিবাহিত করতে পার। তাছাড়া কাজের তালিকা সঠিকভাবে মেইনটেইন করলে তােমার মূল্যবান সময়ের অপচয় হবে না, তােমার কোনাে কাজই বাদ পড়বে না এবং সময়মতাে হবে, ফোকাসও ঠিক থাকলে।
কপোরেট পলিটিকস না কপালেও যদি একটু চালাক না হও তাইলে পিছায়া , হবে। মানে কাজ করবা তুমি আর রেজাল্ট নেবে অন্যেরা। মিটিংগুলােতে তােমার কম। কাজের সাকসেস স্টোরি বা চ্যালো গুলাে শেয়ার করবা। সবাই জানবে তুমি কার ময়ে আয়।
নিজেকে আগ্রইড করাতে হবে। নতুন টেকনলজি গুলা আয়ত্তে আনতে হবে। নিয়মিত প্রশিক্ষণ নিতে হলে নিজেকে অ্যাসেট হিসেবে কোম্পানির ম্যানেজমেন্টের সামনে উপস্থাপন করতে হবে। প্রমাণ করতে হবে এই তুমি আধা সেই তুমি নাই। এই তুমি এক উম ইতর তুমি। যেখানে তোমার ৯৫% কলিগরাই দিনদিন শার্পনেস কমে ভোঁতা হয় সেখানে তুমিই ভিন্ন। পারসনাল ব্র্যান্ডিং (Personal Branding) করতে পিছুপা হত্যা না ।

চাকরি জীবনের হানিমুন পিরয়ড
আমার একজন মেন্টর বিখ্যাত সেলস ইনার রাজিব ভাই সুন্দর একটা কথা বলেন, চাকরিতে আসলে ‘হানিমুন পিরয়ড বলে কিছু নাই; যত বেশি ‘হানিমুন পিরয় কাটাবেন, তত বেশি অন্যদের তুলনায় পিছিয়ে পড়লেন নতুন চাকরিতে ঢােকার প্রথম ১১১ দিনের মধ্যে অবশ্যই বিশেষ ব্যতিচমী কিছু করে দেখাতে হবে, নইলে বাকিটা জীবন আপনি এই কােম্পানিতে গড়পড়তা কর্মী হিসেবে বিবেচিত হবেন।”
নিজেকে ব্যতিক্রম করে পেপারা। নেগুলার লার্নিং-এর মাধ্যমেই। রেগুলার চিয়িং এর মাধ্যমেই। বই পড়া বা ওয়াশপ বা টইনিং-এ পটিসিপেট করার মাধ্যমেই কেবল নিজেকে শাল, ব্যতিক্রমী, এবং আত্ববিশ্বাস হিসেবে বসদের সামনে পরিচিত করাতে পারবা। বসরা যেন প্রমােশন, সেলারি ইনক্রিমেন্ট বা বড় কোন দায়িত্ব দেয়ার সময় তােমার কথাটাই ভাবে মেনে নিজের পারসেপশন কিট করতে হবে। বসনের কাছে তােমার একটা ডিপেন্ডেবল ইমেইজ, ট্রাস্টওরলিনেস এবং কনফিজেন্স তৈরি করতে হবে।

নিয়মিত নিজেকে আপগ্রোইজ কর
সেটা কখন কীভাবে পারবা? যদি তুমি নিয়মিত নিজেকে আপগ্রোইজ কর। বই পড়াে। ট্রেইনিং করো। বাবারা, একটা কথা মনে রাখবা, চাকরি পাওয়া মানেই শেষ না। ক্যারিয়ার প্রেগ্রসটাও সমান গুরুতগd সিদ্ধান্ত তোমার। তুমি Career Suicide করবা না Career Progress করব। আমি আলো সামলাতে পারিনি। তার হয়ে একব্যায় যেন কলম। একটা জায়গায় জটিজ প্রেসঙ্গ শেয়ায় বললাম সিতিটা দিতে। নিতি দেখে তো আমি অবাক। সেই ২০১৩ সালের সিভিটাই আছে। শুধু প্রেজেন্ট কাজের টাইম পিরিয়ডটা অদ্ভ করেছে। সিভিতে এই বাজারে চাকরি পাওয়ার মতো কিছুই নেই। কোন ট্রেইনিং নেই। লেখাপড়া শেষে চাকরি পেয়ে সৰ পড়াশোনা বন্ধ।
এরকম কেইস শুৎ হেল না। আমাদের দেশের লাখ লাখ জেলেমেঘের মাথায় একই গােঙ্কা ঘুঘুর করে। পড়াশােনা শেষ কোনমতে একটা চাকৰাি লাগাতে পারলেই হলাে। এসি অফিস, মাস শেষে বেতন, জন শেষে নতুন সংসার। সৰ শেষ। এটাই হলাে Career Sucide. মানারা, একটু মনােযােগ দিয়ে শােন। এই যজন সিটিতে কাৰিয়াৰ মাসে ভিশটমেশে কাতরি করছি। আমকে ইভ আকামিক কেনাবে রেশন নিয়ে কাজ করতে হয়। এই ছেলেমেয়েদের ইটানগাল না পেসমেন্ট করাতে গিয়ে শতশত করেট দোকজনসেবা সাথে নেটওয়াকিং করতে হয়। এইটা শুকাতে দিত হতে হাড়ে টের পাইছি আমাদের ভার্সিটিগুলা উপায় আর ইশিকী চায়। যা পড়তেই শ্রণা সাথে চাকরির সামন্য জিনিসই শিখতে পারব।