
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল IMF -International Monetary Fund হল জাতিসংঘের প্রধান আর্থিক সংস্থা ও একটি আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান। IMF এর সদর দফতর ওয়াশিংটনের ডিসিতে।এটি বিশ্বের 190টি দেশ নিয়ে গঠিত।IMF এর মূল উদ্দেশ্য হল “বিশ্বব্যাপী আর্থিক সহযোগিতা , আর্থিক বাজার স্থিতিশীলতা বা সুরক্ষিত করা, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সহজতর করা, অধিক কর্মসংস্থান এবং টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্যের হার কমিয়ে আনা।
IMF 1944 সালে গঠিত হয়ে 27 ডিসেম্বর 1945 সালে কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। ব্রেটন উডস সম্মেলনে সর্বপ্রথম প্রাথমিকভাবে হ্যারি ডেক্সটার হোয়াইট এবং জন মেনার্ড কেইনসের ধারণার দ্বারা এটির উদ্ভব। এটি 29টি সদস্য দেশ নিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ব্যবস্থা পুনর্গঠনের লক্ষ্য নিয়ে 1945 সালে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। IMF বর্তমানে অর্থ প্রদানের ভারসাম্যের সমস্যা এবং বিশ্বব্যাপী আর্থিক সংকট ব্যবস্থাপনায় কেন্দ্রীয় ভূমিকা ও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। সদস্যভুক্ত দেশগুলো একটি কোটা পদ্ধতি ব্যবহার করে একটি পুলে নির্দিষ্ট পরিমাণ তহবিল প্রদান করে যেখান থেকে অর্থপ্রদানের ভারসাম্যের সমস্যার সম্মুখীন দেশগুলি অর্থ ধার বা ঋণ নিতে পারে। মূলত আইএমএফকে বলা হয় বিশ্বব্যাপী ঋণদাতা সংস্থা।
Read more-বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (WTO) World Trade Organization
আইএমএফ এর মূল উদ্দেশ্য:
আন্তর্জাতিক আর্থিক সমস্যার সমাধান সহযোগিতার প্রচার, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সহজ করা, টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা, অর্থপ্রদানের ভারসাম্য সমস্যার সম্মুখীন হওয়া এবং সদস্যদের জন্য আন্তর্জাতিক আর্থিক সংকট থেকে পুনরুদ্ধার এবং প্রয়োজনে ঋণ দিয়ে সহযোগিতা করা।
IMF এর
1. সরকারী ভাষা হচ্ছে-
ইংরেজি।
2. এর পরিচালন অধিকর্তা হলেন
ক্রিস্টালিনা জর্জিভা এবং
3. প্রথম উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো গীতা গোপীনাথ।এর
প্রধান অর্থনীতিবিদ
4. পিয়েরে-অলিভিয়ের গৌরিঞ্চাস ও প্রধান অঙ্গ
গভর্নরদের বোর্ড
6. অভিভাবক সংস্থা হচ্ছে
জাতিসংঘ।
আই এম এফ সদস্যভুক্ত দেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সহযোগিতা ও প্রয়োজনীয় বিবেচনায় আর্থিক সহযোগিতা ও ঋণ প্রদান করে থাকে। বাংলাদেশ ঋণ প্রদানের কার্যক্রম চলমান।সবকিছু ঠিক থাকলে ২৯২৩ এর মধ্যেই ঋণ পাবে বাংলাদেশ সরকার।